সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কাচের রঙিন নকশা

        

   নকশা করা অন্দরের ভেতরের দরজা দেখে হয়তো চোখ জুড়িয়ে যাবে। কি সুন্দর আকা-বাকা লতা-পাতা, ফুল, প্রজাপতির নকশা কিংবা হয়তো তুলির আচড়ে সুন্দর করে গড়ে তোলা কোনো অবয়ব। চোখ তো জুড়াবে বটেই, সঙ্গে অন্দরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে কয়েক গুণ বেশি। শুধু দরজা-জানালা কিংবা টেবিলের ওপরের কাচটিই নয়, তুলিতে রাঙিয়ে নিজের মতো নকশা করতে পারেন কাচের কিংবা মসৃণ যে কোনো কিছুর ওপর। টেবিল ল্যাম্প, আয়না, জল খাবার গ্লাস, যা-ই হোক না কেন নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে ফেলতে পারেন নান্দনিক সব নকশায়। কিংবা পছন্দের কোনো চরিত্রকে রূপ দিতে পারেন কাচের ওপর রঙ-তুলির সাহায্যে। সেটি দেখতে যেমন হবে ব্যতিক্রমী ও দৃষ্টিনন্দন, পয়সাও বাচবে অনেকখানি
          প্রয়োজনীয় উপকরণ: স্বচ্ছ স্কচটেপ; বাজারে গ্লাস পেইন্টিং কালার পাওয়া যায়, সেগুলো থেকে পছন্দসই রঙ বেছে নিন; কালো রঙের মার্কার পেন্সিল, যা দিয়ে আউটলাইন তৈরি করা সম্ভব; প্লেক্সি গ্লাস; নকশা তৈরির জন্য পছন্দসই ছাচ; টুথপিক বা চিকন কোনো কাঠি।
          কার্যপদ্ধতি: প্রথমে আপনার পছন্দ করা নকশা করা ছাচটি প্লেক্সি গ্লাস কিংবা কাচের নিচে বসিয়ে নিন। এর পর নকশা করার সুবিধার জন্য স্কচটেপ দিয়ে আটকে নিন। ছাচের ওপর কাচটি পুরোপুরি বসানো হয়ে গেলে কালো মার্কার দিয়ে ছাচের নকশার মতো করেই একটা আউটলাইন তৈরি করে নিন। খেয়াল রাখবেন, প্রতিটি রেখার অগ্রভাগ যাতে আরেকটির সঙ্গে ভালোভাবে জোড়া লাগে। এর পর একটি বোতলে রঙ ঢেলে মুখে নজল লাগিয়ে নিন। বোতল থেকে খুব আস্তে আস্তে রঙ দিয়ে আউটলাইনের ভিতর রঙ মেশান। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোনোভাবেই রঙ আউটলাইনের বাইরে চলে না যায়। আর যদি বাইরে ছড়িয়েই পড়ে তবে দ্রুতই রঙ অপসারণের ব্যবস্থা করুন। রঙ ঢালার পর যদি রঙের বুদবুদ থেকে যায় কাচের ওপর, তবে টুথপিক দিয়ে বুদবুদটি ফুটো করে দিন। বুদবুদসহ নকশাটি শুকিয়ে ফেললে পরে খুব তাড়াতাড়িই উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবার পুরো নকশাটিতে রঙ করার পর শুকিয়ে নিন। যদি রঙ পুরোপুরি না শুকায় তবে সেটি রোদে রেখে দিন কিছুদিন।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গ্লাস পেইন্ট কি অনান্য পেইন্ট করার মতই? নাকি এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়? বাসায় যদি নিজেই গ্লাস পেইন্ট করতে চাই তাহলে কিভাবে করব আর কি কি লাগবে?

গ্লাস পেইন্ট তৈরি করতে প্রয়োজন হয় কাঁচ ও কাঁচে ব্যবহারের উপযোগী রং।গ্লাস পেইন্ট করার জন্য কাচ কিনতে পাওয়া যাবে নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, হাতিরপুল, সায়েন্সল্যাবের মোড়ে। এছাড়াও ছবি বাঁধাই করে এমন দোকানেও কাচ কিনতে পাওয়া যায়। কাচ বিক্রি হয় ফুট হিসেবে। প্রতি ফুটের দাম ৮০-১২০ টাকা। গ্লাস পেইন্ট করার রং কিনতে পাওয়া যায় স্টেশনারি দোকানগুলোতে। ব্লক-বাটিকের রং বিক্রি করে এমন দোকানেও এই রং কিনতে পাওয়া যায়। দাম নেবে ১৮০-১৫০০ টাকা। বিভিন্ন রঙের আউট লাইনারের দাম ৯০-১৫০ টাকা। পদ্ধতি : যে নকশাটি গ্লাস পেইন্টে করবেন সেটা একটা সাদা কাগজে এঁকে নিন। এরপর কাগজটির উপর কাচ রেখে আউট লাইনার দিয়ে নকশাটি কাচে এঁকে ফেলুন। লাইনার শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর নকশায় রং করুন। একটি রং শুকিয়ে যাওয়ার পর আরেকটি রং ব্যবহার করুন। নয়তো দুটি রং মিশে জিনিসটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রং করা হয়ে গেলে ভালোভাবে শুকান। পেইন্ট করা কাঁচটি বাঁধাই করে ঘরের দেয়াল সাজাতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন জানালার শার্সি হিশাবে। এছাড়াও গ্লাস পেইন্ট করা সম্ভব কাঁচের নানা রকম বাসনকোসনেও। খাবার প্লেট থেকে শ...

রঙের ছোঁয়ায় নতুন রূপে...

স্প্রে করার সময় মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে নেওয়া ভালো। মডেল: সামিয়া, ছবি: খালেদ সরকার নিত্যদিনের প্রয়োজনে কত কিছুই না ব্যবহার করতে হয়। নিত্য ব্যবহারের ছোটখাটো এমন অনেক জিনিসই থাকে, যেগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর ফেলনা তালিকায় পড়ে যায়। অথবা দীর্ঘদিন ব্যবহারে মলিন হয়ে পড়ে। চাইলে প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসগুলোই ব্যবহার করতে পারবেন। ফেলনা জিনিসগুলো থেকেই কিন্তু ঘর সজ্জার অনেক আকর্ষণীয় বস্তু তৈরি করা যেতে পারে। দরকার একটু রং লাগানো।  ফেলনা জিনিসের নানা ব্যবহার ঘরের ব্যবহার করা জিনিসটি পুরোনো হয়ে গেলেই যে ফেলে দিতে হবে, তা কিন্তু নয়। অনেক জিনিস ফেলতেও মায়া লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ফেলনা মানেই কিন্তু সব সময়ে বাতিল নয়। আর এ ক্ষেত্রে গুটি কয়েক অব্যবহার্য জিনিস আপনি বাছাই করতে পারেন ঘর, সিঁড়িঘর কিংবা ছাদের সৌন্দর্যের জন্য।’ আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন কোন জিনিসগুলো বাছাই করতে পারেন। মাটির পুরোনো পাত্র শখ করে মাটির সরাটি কিনেছিলেন, কিন্তু কোণের দিকে একটু ভেঙে গেল। কিংবা পুরোনো ফুলের ছোট টব, ছো...