সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইচ্ছে মতো চলুক গ্লাস পেইন্টিং!


গ্লাস পেইন্টিং করার নতুন সাধ হয়েছে যাদের, কাঁচের গায়ে আঁকিবুকি করার চিন্তা করছেন কিন্তু উপায় জানা নেই, তারা উপায় পাবেন এই লেখায়। পেইন্ট করার মূল ধাপগুলো দেখে নিয়ে তারপর ইচ্ছে মতো গ্লাস পেইন্টিং চলুক।
যা যা লাগছে-
  • স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসশিট। ঘরে থাকা কাঁচের কোন পাত্রও হতে পারে। ওয়াইন গ্লাস, ঘড়ির কাঁচ এসব কিছু চলতে পারে।
  • কাগজ লাগতে পারে, যদি নকশাটা প্রথমে কাগজে এঁকে নিয়ে তার উপর কাঁচ বসিয়ে আউটলাইন করেন।
  •  হরেক রকম রং তো লাগছেই, নকশা আউটলাইন করার জন্যও একটি আলাদা রং লাগবে। এটা হতে পারে কালো, কিংবা সোনালি-রূপালি।
  •  তুলি লাগতে পারে, যদি আপনি ব্যবহার করতে চান।
বাজারে হরেক রকম রং সহজলভ্য, নিজের সুবিধা বা পছন্দ মতন বেছে নিতে পারেন।
গ্লাসশিট ধুয়ে মুছে ভালো মতন শুকিয়ে নিন কাজের শুরুতেই। ময়লা কাঁচে আঁকলে জিনিষটা বরং নষ্টই হবে।
গ্লাসে নকশার আউটলাইন আঁকতে হবে এবার। কালার টিউবে চিকন নজল ব্যবহার করবেন আউটলাইন করার জন্য।
কাগজ থেকে ছাপ নিয়ে আঁকতে চাইলে নকশা আঁকা কাগজের টুকরোটা গ্লাসের নিচে রাখুন।
এতোটুক কাজ হবার পর কাঁচের টুকরোটা শুকোতে দিন। এই রং শুকিয়ে যেতে সময় নেবে তিন-চার ঘন্টা। তারপর নকশার মাঝে মনের মতো রং ছড়িয়ে দিলেই হলো। এক্ষেত্রে টিউব আর নজল ব্যবহার করতে পারেন চাইলে, অথবা তুলি দিয়েই রং করতে পারেন।
রং করার শখ মিটিয়ে এবার গ্লাসটিকে শুকোতে দিন পুরো দিন। শুকিয়ে গেলে আলোর বিপরীতে ধরে দেখুন কাজটা ভালো মতো করা হয়েছে কিনা, রং কোথাও কম কিংবা বেশি পড়েছে কিনা।
নতুন নতুন যেকোন কাজ করতে গেলে খানিকটা ছোট পরিসরে করা ভালো। তাতে কাজ নষ্ট হলেও ক্ষতির পরিমাণ কম থাকে। তাই গ্লাস পেইন্টিং এর জন্যেও শুরুতেই বিশাল কাঁচে খুব হিবিজিবি নকশা করার চিন্তা রাখবেন না। ছোট আকারের কাঁচ আর হালকা নকশা বেছে নিন বরং। কাজ করতে করতে দক্ষতা বাড়লে তখন বড়সড় কিছু করবেন না হয়!
ছবি – ক্লিয়ারট্রিপ.কম, ইউটিউব
লিখেছেন –  মুমতাহীনা মাহবুব
Source: www.shajgoj.com

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গ্লাস পেইন্ট কি অনান্য পেইন্ট করার মতই? নাকি এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়? বাসায় যদি নিজেই গ্লাস পেইন্ট করতে চাই তাহলে কিভাবে করব আর কি কি লাগবে?

গ্লাস পেইন্ট তৈরি করতে প্রয়োজন হয় কাঁচ ও কাঁচে ব্যবহারের উপযোগী রং।গ্লাস পেইন্ট করার জন্য কাচ কিনতে পাওয়া যাবে নিউ মার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, হাতিরপুল, সায়েন্সল্যাবের মোড়ে। এছাড়াও ছবি বাঁধাই করে এমন দোকানেও কাচ কিনতে পাওয়া যায়। কাচ বিক্রি হয় ফুট হিসেবে। প্রতি ফুটের দাম ৮০-১২০ টাকা। গ্লাস পেইন্ট করার রং কিনতে পাওয়া যায় স্টেশনারি দোকানগুলোতে। ব্লক-বাটিকের রং বিক্রি করে এমন দোকানেও এই রং কিনতে পাওয়া যায়। দাম নেবে ১৮০-১৫০০ টাকা। বিভিন্ন রঙের আউট লাইনারের দাম ৯০-১৫০ টাকা। পদ্ধতি : যে নকশাটি গ্লাস পেইন্টে করবেন সেটা একটা সাদা কাগজে এঁকে নিন। এরপর কাগজটির উপর কাচ রেখে আউট লাইনার দিয়ে নকশাটি কাচে এঁকে ফেলুন। লাইনার শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর নকশায় রং করুন। একটি রং শুকিয়ে যাওয়ার পর আরেকটি রং ব্যবহার করুন। নয়তো দুটি রং মিশে জিনিসটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রং করা হয়ে গেলে ভালোভাবে শুকান। পেইন্ট করা কাঁচটি বাঁধাই করে ঘরের দেয়াল সাজাতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন জানালার শার্সি হিশাবে। এছাড়াও গ্লাস পেইন্ট করা সম্ভব কাঁচের নানা রকম বাসনকোসনেও। খাবার প্লেট থেকে শ...

রঙের ছোঁয়ায় নতুন রূপে...

স্প্রে করার সময় মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে নেওয়া ভালো। মডেল: সামিয়া, ছবি: খালেদ সরকার নিত্যদিনের প্রয়োজনে কত কিছুই না ব্যবহার করতে হয়। নিত্য ব্যবহারের ছোটখাটো এমন অনেক জিনিসই থাকে, যেগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর ফেলনা তালিকায় পড়ে যায়। অথবা দীর্ঘদিন ব্যবহারে মলিন হয়ে পড়ে। চাইলে প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসগুলোই ব্যবহার করতে পারবেন। ফেলনা জিনিসগুলো থেকেই কিন্তু ঘর সজ্জার অনেক আকর্ষণীয় বস্তু তৈরি করা যেতে পারে। দরকার একটু রং লাগানো।  ফেলনা জিনিসের নানা ব্যবহার ঘরের ব্যবহার করা জিনিসটি পুরোনো হয়ে গেলেই যে ফেলে দিতে হবে, তা কিন্তু নয়। অনেক জিনিস ফেলতেও মায়া লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ফেলনা মানেই কিন্তু সব সময়ে বাতিল নয়। আর এ ক্ষেত্রে গুটি কয়েক অব্যবহার্য জিনিস আপনি বাছাই করতে পারেন ঘর, সিঁড়িঘর কিংবা ছাদের সৌন্দর্যের জন্য।’ আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন কোন জিনিসগুলো বাছাই করতে পারেন। মাটির পুরোনো পাত্র শখ করে মাটির সরাটি কিনেছিলেন, কিন্তু কোণের দিকে একটু ভেঙে গেল। কিংবা পুরোনো ফুলের ছোট টব, ছো...

কাচের রঙিন নকশা

            নকশা করা অন্দরের ভেতরের দরজা দেখে হয়তো চোখ জুড়িয়ে যাবে। কি সুন্দর আকা-বাকা লতা-পাতা, ফুল, প্রজাপতির নকশা কিংবা হয়তো তুলির আচড়ে সুন্দর করে গড়ে তোলা কোনো অবয়ব। চোখ তো জুড়াবে বটেই, সঙ্গে অন্দরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলবে কয়েক গুণ বেশি। শুধু দরজা-জানালা কিংবা টেবিলের ওপরের কাচটিই নয়, তুলিতে রাঙিয়ে নিজের মতো নকশা করতে পারেন কাচের কিংবা মসৃণ যে কোনো কিছুর ওপর। টেবিল ল্যাম্প, আয়না, জল খাবার গ্লাস, যা-ই হোক না কেন নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে ফেলতে পারেন নান্দনিক সব নকশায়। কিংবা পছন্দের কোনো চরিত্রকে রূপ দিতে পারেন কাচের ওপর রঙ-তুলির সাহায্যে। সেটি দেখতে যেমন হবে ব্যতিক্রমী ও দৃষ্টিনন্দন, পয়সাও বাচবে অনেকখানি           প্রয়োজনীয় উপকরণ: স্বচ্ছ স্কচটেপ; বাজারে গ্লাস পেইন্টিং কালার পাওয়া যায়, সেগুলো থেকে পছন্দসই রঙ বেছে নিন; কালো রঙের মার্কার পেন্সিল, যা দিয়ে আউটলাইন তৈরি করা সম্ভব; প্লেক্সি গ্লাস; নকশা তৈরির জন্য পছন্দসই ছাচ; টুথপিক বা চিকন কোনো কাঠি।           কার্যপদ্ধতি: প্রথমে আপনার পছন্দ করা ন...